উচ্চ বেতন পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বন্দরের গৃহবধূ মিম (১৮)কে ভারতের এক পতিতালয়ে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে দ্বীন ইসলাম ও শাহানাজ বেগম নামে দুই মানব পাচারকারির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গৃহবধূর স্বামী দ্বীন ইসলাম মিয়া ১৯ আগষ্ট বুধবার দুপুরে বাদী হয়ে উল্লেখিত মানব পাচারকারিদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপরে দিন মজুর স্বামী স্বামী দ্বীন ইসলাম গনমাধ্যমকে জানায়, আমি মাছ শিকার করে জীবন যাপন করে আসছি। গত ৮ মাস পূর্বে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকার মৃত হাফেজ মিয়ার মেয়ে মিমকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করি। করোনার কারণে রুজি রোজগার কম হওয়াতে সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। সেই সুযোগে গত ১১ আগষ্ট সকাল ১০টায় আমার অবর্তমানে একই এলাকার মৃত মীর আলম মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম দিলু (৩৫) ও ১নং মাধবপাশা এলাকার মনা মিয়ার মেয়ে শাহানাজ বেগম আমার স্ত্রী মিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে ভারতের এক পতিতালয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। পরে আমার স্ত্রী পতিতালয় থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। বর্তমানে আমার স্ত্রী ভারতের দমদম জেলে আটক রয়েছে বলে তিনি জানায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সফিকুল জানান, আদম পাচারের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।