জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপিকা নাজমা রহমানের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লার আলীগঞ্জ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দিনব্যাপী কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ কাউসার আহম্মেদ পলাশের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়
বাদ আছর দোয়ার পূর্বে শ্রমিকলীগ নেতা পলাশ বলেন, রাজনৈতিক ভাবে বিপরীতমুখী অবস্থানে থেকে যখনই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি তখনই অধ্যাপিকা নাজমা রহমান আমাকে সমর্থন করেছেন। ছায়ার মত আমার পাশে থেকেছেন। যে সময় আমাকে গুলি করে মারার জন্য র্যাব গ্রেপ্তার করেছিলো তখন নাজমা রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ভাইকে আমার গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এবং র্যাব থেকে আমাকে ছাড়ানোর জন্য অনেক দৌড়ঝাপ করেছেন নাজমা আপা। তিনি আওয়ামী লীগের জন্য একজন নিবেদিত ব্যক্তি। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশও করেছিলেন।
পলাশ আরোও বলেন, নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী গণ-আন্দোলনে ভূমিকার জন্য নারায়ণগঞ্জের অগ্নিকণ্যা বলা হতো অধ্যাপিকা নাজমা রহমানকে। তিনি কোনো রক্তচক্ষু ও কোনো স্বৈরাচারকে পরোয়া করেননি। তৎকালীন সময় নব্য আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। আওয়ামী লীগে নাজমা রহমানের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঘাতকরা যখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে সেই গ্রেনেডের কয়েকটি স্পিন্টার তাকেও আঘাত করে। সেই স্পিন্টার আঘাতের যন্ত্রনা নিয়ে আমেরিকায় ২০১৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন দলের পরীক্ষিত নারী নেত্রী অধ্যাপিকা নাজমা রহমান। নাজমা রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে আছে।