নারায়ণগঞ্জে একটি আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করাসহ রাষ্ট্রের আর্থিক অপচয় করার কারণে ধর্ষণ মামলার আসামী এক ধর্ষককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ধর্ষকের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীন উদ্দিন এ রায় ঘোষনা করেছেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে জরিমানার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে জমা দিয়ে রশিদ দাখিল সাপেক্ষে আগামী ধার্য তারিখে আসামীর আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাকিব উদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রূপগঞ্জের ভূলতা এলাকায় অবস্থিত হারভেষ্ট গার্মেন্টের নারী শ্রমিক ববিতা খাতুনের (২২) সঙ্গে একই থানাধীন ভাওয়ালিয়াপাড়া এলাকার শাহেব আলীর ছেলে শাহা আলমের (২৫) মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ সকালে বন্দর উপজেলার এস.আইচ ক্যাসটেল এন্ড রিসোর্ট নামে একটি পার্কের ভিতরের কক্ষে নিয়ে দুই জনের সহযোগীতায় ববিতাকে ধর্ষণ করে শাহ আলম। এ ঘটনায় ওইসময় ২৭ মার্চ রূপগঞ্জ থানায় ববিতা খাতুন তাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত করে শাহা আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এতে আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা শেষ করে যুক্তিতর্ক শুনানী পর্যায়ে দিন ধায্য রয়েছে। এসময় বাদীকে (ধর্ষিতা) বিয়ে করার কথা প্রকাশ করে আসামী শাহা আলম এক দরখাস্তে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু যেখানে রায়ের চুড়ান্ত তারিখ ধায্য হয়ে আছে সেখানে শেষ সময়ে এসে মামলা নিষ্পত্তির বিষয়টি আদালত ভালোভাবে নেয়নি। আসামী বাদীকে বিয়েই যদি করবে তাহলে এতোদিন পর কেন? এতে তো আদালতের সময় ও রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ফলে আদালত আসামী (ধর্ষক) শাহাআলমকে জরিমানা করেছে।